বিশ শতক পর্যন্ত ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলন চলতে থাকে। শিক্ষা প্রসার এবং নবজাগরণের ফলে দেশপ্রেমের চেতনা বিস্তার লাভ করে। ১৮৮৫ সালে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস' নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হয়। ব্রিটিশরা অরতীয় জাতীয় চেতনার প্রসারে ভীত হয়ে পড়ে এবং ১৯০৫ সালে বাংলা প্রদেশকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়, একে বঙ্গভঙ্গ বলে। আসামকে অন্তর্ভুক্ত করে পূর্ববাংলা অঞ্চল গঠিত হয়। কিন্তু এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু হলে ১৯১১ সালে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হয় অর্থাৎ দুই বাংলাকে একত্রিত করে দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক আন্দোলনের পরবর্তী ধাপ ছিল ১৯০৬ সালে ভারতীয় মুসলিম লীগ নামে রাজনৈতিক দল গঠন। ভারতের বড় আন্দোলনগুলোর মধ্যে ছিল স্বরাজ আন্দোলন, অসহযোগ আন্দোলন এবং সশস্ত্র যুব বিদ্রোহ। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে ক্ষুদিরাম বসু, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার এবং মাস্টারদা সূর্যসেনের আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা চিরস্মরণীর। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের অনেক সাহসী তরুপ ব্রিটিশদের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন। কিন্তু তাই বলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন থেমে থাকেনি, স্বাধীনতার জন্য ভারতীয়দের আন্দোলন চলতে থাকে।
রাজনৈতিক আন্দোলনের তৃতীয় ধাপে নেতৃত্ব দিয়েছেন নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু এবং শের-ই-বাংলা এ. কে. ফজলুল হক। এসময়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও শরচ্চন্দ্র চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ লেখকের কবিতা, গান ও লেখার মধ্য দিয়ে বাঙালির স্বাধিকার চেতনা আরও বেগবান হয়। নারী জাগরণের অগ্রদূত বেগম রোকেয়া এসময় নারীশিক্ষা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। অবশেষে ১৯৪৭ সালে ইংরেজরা ভারত ভাগ করতে বাধ্য হয় এবং পাকিস্তান ও ভারত নামে দুইটি আলাদা রাষ্ট্রের জন্ম হয়।
কবি সাহিত্যিকগণ কীভাবে রাজনৈতিক আন্দোলনে ভূমিকা রাখতে পারেন, শিক্ষকের সহায়তায় আলোচনা কর।
পাশের পৃষ্ঠা থেকে বিশ শতকে বাংলায় যেসব প্রতিরোধ আন্দোলন হয়েছে, সেগুলোর একটি ঘটনাপঞ্জি তৈরি কর।
বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এবং বেগম রোকেয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তাঁদের সম্পর্কে আরও তথ্য খুঁজে বের কর ।
সঠিক উত্তরের পাশে টিক চিহ্ন দাও।
নিচের কোনটি বাংলার নবজাগরণের সাথে সম্পর্কিত?
ক. নতুন ভবন . খ. শিল্প সাহিত্য গ. জন্মহার ঘ. সিপাহি বিদ্ৰোহ
Read more